এক গ্রামে এক গরীব
মহিলা ছিলো। অকালে স্বামীকে হারিকে একমাত্র সন্তান কেরামতকে নিয়ে এখন তার
জীবন কাটছে। তার একমাত্র ছেলে কেরামত এখন সাবালক ও কর্মক্ষম হলেও সে কিছুটা
বোকা টাইপের হওয়াতে স্বামীহীন সংসারের অভাব দুর করার জন্য অন্যের বাড়িতে
কাজ করে জীবিকা অর্জন করতে হয়।
একদিন সকালে কেরামত ঘুম থেকে পুকুর ঘাটে যায় মুখ ধোয়ার জন্য। মুখ ধোয়ার এক পর্যায়ে কেরামত লক্ষ্য করে পানির নিচে মাটির উপর কিছু একটা জ্বলজ্বল করছে।
কৌতুহলবশত কেরামত বস্তুটি পানি থেকে হাতে তুলে নেয়। পানি থেকে বস্তুটি হাতে নেওয়ার পর বস্তুটির চাকচিক্য আরও বেড়ে যায়। তা দেখে কেরামত মনে মনে ভাবে এটা নিশ্চয়ই কোনো মূল্যবান পাথর হবে। তাই তার চোখে মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে ওঠে।
পাথরটি পানি থেকে তোলার সময় পাথরটির গায়ে কাদামাটি লেগেছিল। তাই কেরামত পাথরটির গায়ে লেগে থাকা কাদামাটি পরিষ্কার করার জন্য পানি দিয়ে পাথরটি পরিষ্কার করতে লাগলো। পরিষ্কার করার এক পর্যায়ে পাথরটি কেরামতের হাত ফস্কে পুনরায় পানিতে পড়ে যায়। পাথরটি পানিতে পড়ে যাওয়ার পর কেরামত হাসিখুশিভাবে পানিতে পাথরটি খুজতে থাকে। কিন্তু অনেকক্ষণ খোজার পর পাথরটি না পেয়ে কেরামতের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার অভিব্যক্তি ফুটে ওঠে। সে উদ্বিগ্ন হয়ে দু হাতে পুকুরের পানি থেকে মাটি তুলে তার মধ্যে পাথরটি খুজতে থাকে। অনেক খোজাখোজির পর পাথরটি না পেয়ে সে পানিতে নেমে ডুব দিয়ে পাথরটি খুজতে থাকে। অবশেষে কেরামতের সকল চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
পাথরটি খুজে না পেয়ে কেরামত পুকুর পাড়ে বসে একা একা বিলাপ করতে শুরু করে – হায় হায় এইটা আমি কি করলাম। ধোয়ার চাইতে তো ধোয়াই ভালা আছিলো। এভাবে কিছুক্ষণ বিলাপ করার পর পুকুরের পানির দিকে তাকিয়ে মাথায় হাত দিয়ে পুকুর পাড়ে বসে থাকে।
এদিকে কেরামতের মা কাজ করে বাড়িতে এসে ঘরে কেরামতকে না দেখে খুজতে খুজতে পুকুর পাড়ে এসে কেরামতকে ভেজা কাপড়ে বসে থাকতে দেখে কেরামতের কাছে এর কারণ জানতে চাইলে – কেরামত তার মায়ের কথার জবাব না দিয়ে ডানে-বামে মাথা ঝাকিয়ে বলে – ধোয়ার চাইতে না ধোয়াই ভালা। কেরামতের কথা শুনে কেরামতের মা কিছুই বুঝে উঠতে পারে না। তাই সে পুনরায় কেরামতের কাছে জানতে চায়। এবারও কেরামতের সেই একই উত্তর। কেরামতের এহেন আচরণ দেখে কেরামতের মা চিন্তিত হয়ে পড়ে। তাই সে তড়িঘড়ি করে কেরামতকে নিয়ে ঘরে চলে যায়। তারপর কেরামতের কাপড় পাল্টিয়ে খাইয়ে – দাইয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে আবার কাজে চলে যায়।
কেরামতের মা, কেরামতের অদ্ভুদ আচরণের বিষয়ে বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে। কেরামতের মায়ের কথা শুনে তারা সবাই জানায় যে, কেরামতের উপর বদ জিনিস আছড় করছে। তাই সকলেই কেরামতকে ফকিরের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। গ্রামের সকলের পরামর্শক্রমে কেরামতের মা, কেরামতকে নিয়ে ফকিরের বাড়িতে যায়।
কেরামতকে দেখে ফকির কেরামতকে ভালো করে দেওয়ার বিনিময়ে কেরামতের মায়ের কাছে ২০০ টাকা দাবি করে। কেরামতের মা, ফকিরকে অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে ১০০ টাকায় রাজি করায়। ফকির কেরামতের মাকে জানায় কেরামতকে কয়েকদিনের জন্য তার বাড়িতে রেখে যেতে হবে। ফকিরের কথামতো কেরামতের মা, কেরামতকে ফকিরের বাড়িতে রেখে চলে আসে।
কেরামতের চিকিৎসা শুরু করার পর ফকির বুঝতে পারে যে কেরামতের উপরে আসলে কোনো বদ জিনিস আছড় করে নাই। তার এই রোগ মনের রোগ। তাই সে অন্যভাবে কেরামতের চিকিৎসা শুরু করে। ফকির, কেরামতকে নিয়মিত পাচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও আল্লাহর পথে জীবন পরিচালনার মাধ্যমে তার মন থেকে – ধোয়ার চাইতে না ধোয়াই ভালা, এই ঘটনার কথা ভুলিয়ে দেন।
তারপর একদিন সকালে ফকির, কেরামতকে নিয়ে কেরামতদের বাড়িতে যায়। সুস্থ্য কেরামতকে দেখে কেরামতের মা ভীষণ খুশি হয়। এরপর ফকির তার পারিশ্রমিক চাইলে কেরামতের মা তার আচল থেকে পঞ্চাশ টাকা বের করে ফকিরকে দিয়ে বলে – এহন তো হাতে টেকা নাই, এহন পঞ্চাশ টাকা লন, বাকি পঞ্চাশ টেকা কয়দিন পর দিয়া দিমুনে। কিন্তু ফকির ভেঙ্গে ভেঙ্গে টাকা নিতে নারাজ। তাই সে কেরামতের মাকে বলে – কিছুদিন পরে একসাথেই একশ টাকা দিতে। এরপর ফকির কেরামতদের বাড়ি থেকে চলে যায়।
এরপরের দিনগুলো কেরামত ও কেরামতের মায়ের সুখে – শান্তিতে কাটতে থাকে। কয়েকদিন পর একদিন রাত্রে খেতে বসে কেরামতের মা কৌতুহলবশত কেরামতের কাছে জানতে চায় – আচ্ছা বাজান কয়দিন আগে যে তোরে কিছু জিগাইলে তুই খালি কইতি – ধোয়ার চাইতে না ধোয়াই ভোলা। এর কারণটা কি?
কেরামতের মায়ের কথা শুনে কেরামতের পুনরায় আবার সেই ঘটনার কথা মনে পড়ে যায়। তই সে খাবার ফেলে আবার ডানে – বামে মাথা ঝাকিয়ে ”ধোয়ার চাইতে না ধোয়াই ভালা” এই কথাটি বলতে থাকে। কেরামতের আচরণে পরিবর্তন দেখে কেরামতের মা ব্যতিব্যস্ত হয়ে কেরামতের মাথায়-পিঠে হাত বোলাতে থাকে। কিন্তু কিছুতেই কোনো কাজ হয় না। কেরামতের সেই একই কথা “ধোয়ার চাইতে না ধোয়াই ভালা”। কেরামত আবার তার আগের অবস্থায় ফিরে যায়। তাই কেরামতের মা বিলাপ বকতে থাকে “হায় হায় এইডা আমি কি করলাম। কওয়ার চাইতে তো না কওয়াই ভালা আছিলো”। বিলাপ করতে করতে কেরামতের মায়েরও কেরামতের মতো একই অবস্থা হয়ে যায়।
এরপর সারা রাত মা-ছেলের সেই একই কথা -
কেরামত : ধোয়ার চাইতে না ধোয়াই ভালা
কেরামতের মা : কওয়ার চাইতে না কওয়াই ভালা
তারপরের দিন সকালে ফকির তার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য কেরামতদের বাড়িতে আসে। ফকির কেরামতের মায়ের কাছে তার টাকা চাইলে -
কেরামতের মায়ের উত্তর : কওয়ার চাইতে না কওয়াই ভালা
কেরামতের মায়ের কথা শুনে ফকির, কেরামতের কাছে তার মায়ের কি হয়েছে তা জানতে চাইলে -
কেরামতের উত্তর : ধোয়ার চাইতে না ধোয়াই ভালা
মা ছেলের আচরণ দেখে ফকির একা একা বলতে থাকে -
অহন দেহি মায়-পোলায় দুইজনেই পাগল হইয়া গেছে। এহন আমার টেকা দিবো কে? “হায় হায় এইডা আমি কি করলাম। ঐদিন পঞ্চাশ টেকা দিছিলো, না নিয়া কি ভুলডাই না করলাম।”
এভাবে ফকির কিছুক্ষণ বিলাপ বকতে থাকে। বিলাপ করতে করতে ফকিরের আচরণে পরিবর্তন আসে। ফকির তার মাথা ডানে-বামে ঝাকাতে থাকে এবং বলতে থাকে “একশর চাইতে পঞ্চাশই ভালা”। ফকির কেরামতদের বাড়ির উঠানে দাড়িয়ে আর কেরামত ও কেরামতের মা ঘরের বারান্দায় বসে মাথা ঝাকাতে ঝাকাতে বলতে থাকে -
কেরামত : ধোয়ার চাইতে না ধোয়াই ভালা
কেরামতের মা : কওয়ার চাইতে না কওয়াই ভালা
ফকির: একশর চাইতে পঞ্চাশই ভালা
একদিন সকালে কেরামত ঘুম থেকে পুকুর ঘাটে যায় মুখ ধোয়ার জন্য। মুখ ধোয়ার এক পর্যায়ে কেরামত লক্ষ্য করে পানির নিচে মাটির উপর কিছু একটা জ্বলজ্বল করছে।
কৌতুহলবশত কেরামত বস্তুটি পানি থেকে হাতে তুলে নেয়। পানি থেকে বস্তুটি হাতে নেওয়ার পর বস্তুটির চাকচিক্য আরও বেড়ে যায়। তা দেখে কেরামত মনে মনে ভাবে এটা নিশ্চয়ই কোনো মূল্যবান পাথর হবে। তাই তার চোখে মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে ওঠে।
পাথরটি পানি থেকে তোলার সময় পাথরটির গায়ে কাদামাটি লেগেছিল। তাই কেরামত পাথরটির গায়ে লেগে থাকা কাদামাটি পরিষ্কার করার জন্য পানি দিয়ে পাথরটি পরিষ্কার করতে লাগলো। পরিষ্কার করার এক পর্যায়ে পাথরটি কেরামতের হাত ফস্কে পুনরায় পানিতে পড়ে যায়। পাথরটি পানিতে পড়ে যাওয়ার পর কেরামত হাসিখুশিভাবে পানিতে পাথরটি খুজতে থাকে। কিন্তু অনেকক্ষণ খোজার পর পাথরটি না পেয়ে কেরামতের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার অভিব্যক্তি ফুটে ওঠে। সে উদ্বিগ্ন হয়ে দু হাতে পুকুরের পানি থেকে মাটি তুলে তার মধ্যে পাথরটি খুজতে থাকে। অনেক খোজাখোজির পর পাথরটি না পেয়ে সে পানিতে নেমে ডুব দিয়ে পাথরটি খুজতে থাকে। অবশেষে কেরামতের সকল চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
পাথরটি খুজে না পেয়ে কেরামত পুকুর পাড়ে বসে একা একা বিলাপ করতে শুরু করে – হায় হায় এইটা আমি কি করলাম। ধোয়ার চাইতে তো ধোয়াই ভালা আছিলো। এভাবে কিছুক্ষণ বিলাপ করার পর পুকুরের পানির দিকে তাকিয়ে মাথায় হাত দিয়ে পুকুর পাড়ে বসে থাকে।
এদিকে কেরামতের মা কাজ করে বাড়িতে এসে ঘরে কেরামতকে না দেখে খুজতে খুজতে পুকুর পাড়ে এসে কেরামতকে ভেজা কাপড়ে বসে থাকতে দেখে কেরামতের কাছে এর কারণ জানতে চাইলে – কেরামত তার মায়ের কথার জবাব না দিয়ে ডানে-বামে মাথা ঝাকিয়ে বলে – ধোয়ার চাইতে না ধোয়াই ভালা। কেরামতের কথা শুনে কেরামতের মা কিছুই বুঝে উঠতে পারে না। তাই সে পুনরায় কেরামতের কাছে জানতে চায়। এবারও কেরামতের সেই একই উত্তর। কেরামতের এহেন আচরণ দেখে কেরামতের মা চিন্তিত হয়ে পড়ে। তাই সে তড়িঘড়ি করে কেরামতকে নিয়ে ঘরে চলে যায়। তারপর কেরামতের কাপড় পাল্টিয়ে খাইয়ে – দাইয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে আবার কাজে চলে যায়।
কেরামতের মা, কেরামতের অদ্ভুদ আচরণের বিষয়ে বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে। কেরামতের মায়ের কথা শুনে তারা সবাই জানায় যে, কেরামতের উপর বদ জিনিস আছড় করছে। তাই সকলেই কেরামতকে ফকিরের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। গ্রামের সকলের পরামর্শক্রমে কেরামতের মা, কেরামতকে নিয়ে ফকিরের বাড়িতে যায়।
কেরামতকে দেখে ফকির কেরামতকে ভালো করে দেওয়ার বিনিময়ে কেরামতের মায়ের কাছে ২০০ টাকা দাবি করে। কেরামতের মা, ফকিরকে অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে ১০০ টাকায় রাজি করায়। ফকির কেরামতের মাকে জানায় কেরামতকে কয়েকদিনের জন্য তার বাড়িতে রেখে যেতে হবে। ফকিরের কথামতো কেরামতের মা, কেরামতকে ফকিরের বাড়িতে রেখে চলে আসে।
কেরামতের চিকিৎসা শুরু করার পর ফকির বুঝতে পারে যে কেরামতের উপরে আসলে কোনো বদ জিনিস আছড় করে নাই। তার এই রোগ মনের রোগ। তাই সে অন্যভাবে কেরামতের চিকিৎসা শুরু করে। ফকির, কেরামতকে নিয়মিত পাচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও আল্লাহর পথে জীবন পরিচালনার মাধ্যমে তার মন থেকে – ধোয়ার চাইতে না ধোয়াই ভালা, এই ঘটনার কথা ভুলিয়ে দেন।
তারপর একদিন সকালে ফকির, কেরামতকে নিয়ে কেরামতদের বাড়িতে যায়। সুস্থ্য কেরামতকে দেখে কেরামতের মা ভীষণ খুশি হয়। এরপর ফকির তার পারিশ্রমিক চাইলে কেরামতের মা তার আচল থেকে পঞ্চাশ টাকা বের করে ফকিরকে দিয়ে বলে – এহন তো হাতে টেকা নাই, এহন পঞ্চাশ টাকা লন, বাকি পঞ্চাশ টেকা কয়দিন পর দিয়া দিমুনে। কিন্তু ফকির ভেঙ্গে ভেঙ্গে টাকা নিতে নারাজ। তাই সে কেরামতের মাকে বলে – কিছুদিন পরে একসাথেই একশ টাকা দিতে। এরপর ফকির কেরামতদের বাড়ি থেকে চলে যায়।
এরপরের দিনগুলো কেরামত ও কেরামতের মায়ের সুখে – শান্তিতে কাটতে থাকে। কয়েকদিন পর একদিন রাত্রে খেতে বসে কেরামতের মা কৌতুহলবশত কেরামতের কাছে জানতে চায় – আচ্ছা বাজান কয়দিন আগে যে তোরে কিছু জিগাইলে তুই খালি কইতি – ধোয়ার চাইতে না ধোয়াই ভোলা। এর কারণটা কি?
কেরামতের মায়ের কথা শুনে কেরামতের পুনরায় আবার সেই ঘটনার কথা মনে পড়ে যায়। তই সে খাবার ফেলে আবার ডানে – বামে মাথা ঝাকিয়ে ”ধোয়ার চাইতে না ধোয়াই ভালা” এই কথাটি বলতে থাকে। কেরামতের আচরণে পরিবর্তন দেখে কেরামতের মা ব্যতিব্যস্ত হয়ে কেরামতের মাথায়-পিঠে হাত বোলাতে থাকে। কিন্তু কিছুতেই কোনো কাজ হয় না। কেরামতের সেই একই কথা “ধোয়ার চাইতে না ধোয়াই ভালা”। কেরামত আবার তার আগের অবস্থায় ফিরে যায়। তাই কেরামতের মা বিলাপ বকতে থাকে “হায় হায় এইডা আমি কি করলাম। কওয়ার চাইতে তো না কওয়াই ভালা আছিলো”। বিলাপ করতে করতে কেরামতের মায়েরও কেরামতের মতো একই অবস্থা হয়ে যায়।
এরপর সারা রাত মা-ছেলের সেই একই কথা -
কেরামত : ধোয়ার চাইতে না ধোয়াই ভালা
কেরামতের মা : কওয়ার চাইতে না কওয়াই ভালা
তারপরের দিন সকালে ফকির তার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য কেরামতদের বাড়িতে আসে। ফকির কেরামতের মায়ের কাছে তার টাকা চাইলে -
কেরামতের মায়ের উত্তর : কওয়ার চাইতে না কওয়াই ভালা
কেরামতের মায়ের কথা শুনে ফকির, কেরামতের কাছে তার মায়ের কি হয়েছে তা জানতে চাইলে -
কেরামতের উত্তর : ধোয়ার চাইতে না ধোয়াই ভালা
মা ছেলের আচরণ দেখে ফকির একা একা বলতে থাকে -
অহন দেহি মায়-পোলায় দুইজনেই পাগল হইয়া গেছে। এহন আমার টেকা দিবো কে? “হায় হায় এইডা আমি কি করলাম। ঐদিন পঞ্চাশ টেকা দিছিলো, না নিয়া কি ভুলডাই না করলাম।”
এভাবে ফকির কিছুক্ষণ বিলাপ বকতে থাকে। বিলাপ করতে করতে ফকিরের আচরণে পরিবর্তন আসে। ফকির তার মাথা ডানে-বামে ঝাকাতে থাকে এবং বলতে থাকে “একশর চাইতে পঞ্চাশই ভালা”। ফকির কেরামতদের বাড়ির উঠানে দাড়িয়ে আর কেরামত ও কেরামতের মা ঘরের বারান্দায় বসে মাথা ঝাকাতে ঝাকাতে বলতে থাকে -
কেরামত : ধোয়ার চাইতে না ধোয়াই ভালা
কেরামতের মা : কওয়ার চাইতে না কওয়াই ভালা
ফকির: একশর চাইতে পঞ্চাশই ভালা